জঙ্গলমহল এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হল বন বিভাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা : জঙ্গলমহল এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হল বন বিভাগ। সেই লক্ষ্যেই বাঁকুড়া দক্ষিণ বন বিভাগের সারেঙ্গা রেঞ্জের উদ্যোগে এবং সার্বিক বিবেকানন্দ গ্রাম সেবা সংস্থার কারিগরি সহযোগিতায় সারেঙ্গা ব্লকের ৩০ জন মহিলাকে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। সারেঙ্গা ব্লক এলাকার মহিলাদের এই বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট সেন্ট্রাল সার্কেল এস কুলান ডাইভ্যাল, বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের DFO ই বিজয় কুমার।এছাড়াও এদিন সারেঙ্গার প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সারেঙ্গা রেঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক শুভাশিষ চৌধুরী এবং সারেঙ্গা রেঞ্জের বিট অফিসার অভিজিৎ গড়াই সহ অনান্য কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ৩০ জন মহিলাকে নিয়ে প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয় আগামী দিনে আরও এই ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।আগামী ২৫ দিন এই প্রশিক্ষণ চলবে বলে জানা গিয়েছে। আর বন দফতরের এই উদ্যোগে খুশি প্রশিক্ষন প্রার্থীরা। এই বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রার্থী অপরুপা সন্নিগ্রাহী বলেন, ‘আসলে জঙ্গলমহলে কাজের তেমন সুযোগ নেই। তাই না চাইলেও বাড়িতে বসে থাকতে হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বন দফতরের এমন উদ্যোগ আমাদের জন্য আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশিক্ষন আমাদের যথেষ্ট কাজে লাগবে। এরপর আমরা হাতে কলমে কাজ শুরু করতে পারব। শুধু বিয়েবাড়ির কাজই নয়। যে কোনও শহরের বিউটি পার্লার গুলিতেও কাজের সুযোগ আসতে পারে। এর ফলে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আসবে।’রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘জঙ্গলমহলের স্বাবলম্বী হতে চাওয়া মহিলাদের জন্য অনেকদিন ধরেই বন দফতর ভাবনাচিন্তা করছিল। অবশেষে তা ফলপ্রসূ হল। শুধু এই ৩০ জনই নন, ধাপে ধাপে আরও মহিলাদের এই প্রশিক্ষন দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়ায় নয়, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের উপযুক্ত পরিমানে ঋণ দিয়ে তাঁদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে আমরা তার সুফল পেতে শুরু করেছি।’আরও এক প্রশিক্ষন প্রার্থী বলেন, ‘আমার দুই ছেলে মেয়েই আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। সংসারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এখানে যুক্ত হয়েছি। এখন বাড়তি রোজগারের আশায় বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণও নিচ্ছি। কারণ বিউটিশিয়ানের কাজ জানলে ভবিষ্যতে অর্থ উপার্জনের রাস্তা তৈরি হবে।’