বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সামাজিক উন্নতি সাধনে দেখা গেল শিক্ষক দম্পতির

বাবলু হাসান লস্কর, সুন্দরবন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: অপরের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেনা এমনই মানুষজনের কথা চিন্তা ভাবনার সমাজকর্মীর বড়োই অভাব। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে তাদের প্রয়োজনীয়তা কি তা ভাবতে শুরু করেন পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন তারই অর্ধাঙ্গিনী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা কুলতলীর চুপড়িঝাড়া অঞ্চলের দয়ালের মোড় এলাকার বাসিন্দার ইন্দ্রজিৎ হালদার। পেশায় শিক্ষকতা করার পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষদেরকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সর্বদা সংগ্রাম করে চলছেন।এই কাজে তিনি পাশে পাচ্ছেন একাধিক জনপ্রতিনিধি কুলতলি বিধায়ক মাননীয় গণেশ চন্দ্র মন্ডল মহাশয় এবং চুপড়ীঝাড়া অঞ্চল প্রধান কণিকা ভুঁয়া ও নলগোড়া অঞ্চল প্রধান রিংকু গুড়িয়া মহাশয়া।

     

    বিশেষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবন্ধকতা যুক্ত ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা সমিতি মেদিনীপুর তমলুক নিম্নতৌড়ী এবং মধ্য গুড়গুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাননীয় মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল। প্রশাসনিক আধিকারিক নিমপিঠ হসপিটালের সাহায্য প্রতিবন্ধি কার্ড এবং নিমপীঠ বি. ডি.ও সাহেবের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের মানবিক ভাতা দ্রুত পাইয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করেন।প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় সহায়ক যন্ত্রাংশের সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেন ভুবনখালি কৃষি ও সমাজসেবা প্রতিবন্ধী সমিতির উদ্যোগে ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহায়তা সমিতির আর্থিক ব্যয়ে যন্ত্রাংশ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। সুদূর রাজস্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন ভগবান মহাবীর বিকলঙ্গ সমিতির সেক্রেটারি রাজনিশ বাগানি। তার হার্দিক প্রচেষ্টায় এই যন্ত্রাংশ প্রদান অনুষ্ঠান সফল হয়। এবং পাঁচ শতাধিক অসহায় প্রতিবন্ধিদের শীতবস্ত্র প্রদান করেন উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুপড়ীঝাড়া অঞ্চলের সমাজসেবী শম্ভু মন্ডল ও ভুবনখালি প্রতিবন্ধি সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ হালদার।