|
---|
ইয়াসমিন খাতুন: আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অবশ্যই বছরের এই বিশেষ দিনটিতে একজন নারীর মুক্তমনে মনের কথা বলার দিন। নারী দিবসের দিনে নারী স্বাধীনতা, নারীর অধিকারের কথা যেমন ওঠে আসে তেমনি নারী যন্ত্রনা, কষ্ট, ব্যাথা বেদনার কথাও আলোচনা হবে স্বাভাবিকভাবেই। আজকের দিনে নারীরা সারা দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের সব জায়গায় সমানে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ আজ ঘড়ে বাইরে নানান ভাবে মেয়েনা নির্যাতনের শিকার হয়। ঘড়ে যেমন একজন বৌ হিসেবে প্রকৃত সম্মান মর্যদা পায় না তেমনি বাইরেও, কর্মক্ষেত্রেও নারীকে নারী বলে ছোট করে দেখা হয়। মেয়েরা যখন নানান সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকে এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছেও সুবিচার ন্যায় বিচার পায় না তখন বাধ্য হয়ে আইনের দরকারে যেতে বাধ্য হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত মেয়েদের প্রতি সম্মান ও ন্যায় বিচার দিয়ে থাকে আমাদের আদালত। মেয়েদের জন্য প্রচুর আইন আছে। সব বলা বা ব্যাখা করা সম্ভব নয়। তবে কমবয়সী মেয়েরা যাতে সমাজে সুরক্ষিত থাকে তার জন্য পকসো, বড় দের জন্য ৪৯৮এ, ডিভি এ্যক্ট, যাকে ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্স এ্যাক্ট ২০০৫ বলা হয়, ডাওরী প্রিভেনশন এ্যাক্ট সহ প্রচুর আইন রয়েছে। তাছাড়াও সম্প্রতী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দচূড় মহাশয় মহিলাদের সম্মান প্রর্দশনে Handbook on Combating gender stereotypes নামের একটি গাইডবুকও প্রকাশ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে মহিলা ক্ষেত্রে কিছু কিছু ভাষার ব্যাবহার করা যাবে না।
যেমন — career women – না বলে women
child prostitue – না বলে child who has been trafficked dutiful wife / faithful wife / good wife / obedient wife এর পরিবর্তে wife
easy virtue / harlot / Indian women / western women নয় women
hooker বলা ঠিক নয়, তার পরিবর্তে sex worker.
এ রকম প্রচুর শব্দের ব্যাবহারের পরিবর্তন করা হয়েছে। যা মহিলাদের ক্ষেত্রে এক অনন্য সম্মান। সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনতার ৭৫/৭৬ বছর আমাদের মহিলাদের যে এত বড় সম্মান দিলো সেটাতে মহিলাদের সম্মান যেমন বেড়েছে তেমন এটাও মানতে হবে যে আইনের জায়গা থেকেই মহিলা সমাজ এই সম্মান পেলো। তাছাড়াও মেয়েরা কোন সমস্যার মধ্যে পড়লে প্রতিটি জেলা আদালতে জেলা আইনী পরিষেবা কতৃপক্ষের কাছেও বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পায়। যেটা মহিলাদের কাছে এক বড় পাওনা।