নৈহাটিতে রণংদেহী মমতা বললেন “এখানে মারলে, বিচার হবে অন্যখানে”

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আঘাত করলে আমরা প্রত্যাঘাত করি। এখানে মারলে, বিচার হবে অন্যখানে।’ নৈহাটিতে অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চে রণংদেহি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘বিজেপির গুন্ডারা জেনে রাখুন, বিধানসভা ভোটে একটিও আসন পাবেন না। বাংলা কখনও গুজরাট হবে না। বাংলা বাংলাই থাকবে, আর গুজরাট গুজরাটই থাকবে।’ এদিকে এদিন নৈহাটি যাওয়ার পথে ভাটপাড়ায় ফের মুখ্যমন্ত্রী গাড়ির সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্নোগান দেন বেশ কয়েকজন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো তাঁদের দিকে এগিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র ভাষায় তাঁদের আক্রমণও করেন।

    লোকসভা ভোটে শোচনীয় ফল তৃণমূল কংগ্রেসের। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক নেতা-বিধায়ক দিল্লিতে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। দলের সংগঠন ধরে রাখতে রাজ্যপাট ছেড়ে ফের আন্দোলনে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। লোকসভা নির্বাচনের সময় সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাটপাড়া-নৈহাটি চত্বর। ষষ্ঠ দফায় লোকসভা ভোটের দিন আবার ছিল ভাটাপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনও। সেদিন রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রাণ বাঁচাতে গা-ঢাকা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকরা। আতঙ্কে কার্যত দিশেহারা দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে মোদি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করে নৈহাটিতে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন মমতা

    লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর কলকাতা কমিশনার-সহ রাজ্য পুলিশ রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন পর্ব মিটতেই ফের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের খাবে, আমাদের পরবে, আর বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করবে। শপথ নেওয়ার আগে দেশজুড়ে অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। আগে শপথ নিন, ভাল করে কাজ করুন।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বিজেপিকে রুখতে ব্লকে ব্লকে জয়হিন্দ বাহিনী তৈরি করতে হবে। বাহিনীর সদস্যদের কাছে শান্তিনিকেতনী লাঠি থাকবে। আগামী ১৪ জুন বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য কাঁচরাপাড়া যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।